প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইউরোপীয়দের দুর্বলতা: ট্রাম্পের মতে, ইউরোপীয় দেশগুলো 'ক্ষয়িষ্ণু' হয়ে পড়েছে। তারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ বা রাশিয়ার সঙ্গে চলমান ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে কোনো 'কার্যকর পদক্ষেপ' নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
কেবল আলোচনা, কাজ নেই: ট্রাম্প সরাসরি ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, "তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না, ফলে যুদ্ধ চলতেই থাকে।"
যুদ্ধ বন্ধের ব্যর্থতা: তাঁর অভিযোগ, ইউরোপ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো 'সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ' নিতে পারেনি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার। তিনি ট্রাম্পের ধারণার বিপরীত চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, তিনি ইউরোপে শক্তি দেখেছেন এবং কিয়েভের প্রতিরক্ষায় ইউরোপের বিনিয়োগ ও তহবিল উভয়কেই তাঁরা সমর্থন করছেন।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, পৃথিবীতে মাত্র দুইজন প্রেসিডেন্ট শান্তির জন্য কাজ করছেন— একজন হলেন তিনি নিজে এবং অন্যজন ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি।
অন্যদিকে, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সংঘাত বাড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন (বারবার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে)।
তবে ট্রাম্প ইউক্রেনকে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হতে চাপ দিচ্ছেন এবং জেলেনস্কিকে মস্কোর কাছে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা যায়।
ট্রাম্পের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর অবস্থানে দৃঢ়। মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ তিনি জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপ যুদ্ধের অবসান সম্পর্কিত সম্ভাব্য পদক্ষেপের সমস্ত উপাদান নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং পরিকল্পনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় অংশগুলো আরও উন্নত হয়েছে। এর অর্থ, তাঁরা ট্রাম্পের 'অঞ্চল ছেড়ে দাও' প্রস্তাবে এখনও রাজি নন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করেছেন, যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি।